চীনে উচ্চশিক্ষা, কর্মসংস্থান ও স্থায়ী বসবাস
আপনি যদি ঠিক এই মূহুর্তে ভেবে থাকেন আপনি দেশর গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে আপনার উচ্চশিক্ষা নিশ্চিতের জন্য পাড়ি জমাবেন ! হ্যাঁ তাহলে আপনাকে বলছি। আপনার এই জটিল স্বপ্ন কে গুছিয়ে সহজ থেকে সহজতর করতে আজকে আমাদের এই লেখা৷
স্বভূমিতে সব চেয়ে শক্তিশালী ভোক্তা বাজার এবং হাজার বছরের ঐতিহ্য, বৈচিত্র্য ও সংস্কৃতিতে ঠাসা দেশটি আজও তাদের নিজস্বতা ধরে রাখতে বিশ্বের অদ্বিতীয়৷ বিশ্বজুড়ে টেকনোলজিক্যাক সাফল্যের সাথে তাদের আছে বিস্তর মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা। হ্যাঁ বলছি চীনের কথা। যারা কিনা তাদের মানবসম্পদ কে একেকটি ব্রান্ডে রূপান্তর করে দেখিয়েছে।
এই বিশাল কর্মযজ্ঞের পাশাপাশি চীন তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা গুলোকে আন্তর্জাতিকীকরনে ব্যাপক ভাবে বিনিয়োগ করে চলেছে, যার দরূন এখানে আছে অপার স্কলারশিপ সুযোগ৷ পাশাপাশি তরুণ দের নিজেকে দক্ষ করে নেওয়ার বাস্তবিক অভিজ্ঞতা
বর্তমানে অনেক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে পছন্দের গন্তব্য চীন৷ কারণ অন্য গন্তব্যের থেকে চীন কম ব্যায়বহুল।
চলুন দেখে নেওয়া যাক এক নজরে চীনের শিক্ষা ব্যবস্থার হালচালঃ
কেন পড়তে যাবেন?
যে কেও বিদেশে পড়তে যেতে চাইলে স্বাভাবিক ভাবে প্রথম প্রশ্ন আসে কেন পড়তে যাবো এখানে? হ্যাঁ, একদম ঠিক। চীনে কেন পড়তে যাবেন এই নিয়মিত প্রশ্নের নির্দিষ্ট উত্তর অনেকটা এরকম:
– হাতের নাগালে টিউশন ফি এবং বৃত্তি।
– উন্নয়নশীল দেশ, উন্নত জীবন যাপন
– বাংলাদেশের পাঠচক্রের সাথে সামঞ্জস্য
– বিশ্বের শ্রেষ্ট পাবলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ
– বহুল আলোচিত পর্যাপ্ত নিরাপত্তার জন্য অভ্যন্তরীণ আবাসিক ও খাবার এর সুযোগ।
– লাগবে না IELTS / GRE
– এছাড়াও আপনি পাবেন Vacation গুলোতে দেশে আসার সুযোগ।
এছাড়াও রয়েছে নানান কারণ যার দরুণ অন্য সব দেশ থেকে কেনো চীন শিক্ষার্থীদের তালিকাতে উপরের সারিতে।
চীন ও শিক্ষা ব্যবস্থা:
শুরুটা ১৯১১ সালে, বেইজিংয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়। শতাধিক বছরের পুরোনো এই বিশ্ববিদ্যালয় এখন গবেষণা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত বিষয়ে চীনাদের গর্বের প্রতীক। পশ্চিমা গবেষণাভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আদলে পরিচালিত হচ্ছে চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। যা কিনা চীনের অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ হিসেবে খ্যাত। সিংহুয়া হচ্ছে প্রচলিত ও বাস্তবধর্মী বিশ্ববিদ্যালয়। এছারাও পূর্ব এশিয়ার বিশাল জনসংখ্যার এই দেশটিতে আছে ৪০০ + মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার ৩০,০০০+ এর বেশি প্রোগ্রাম সুযোগ থাকছে ৬,০০০+ এর বেশি সরকারি অথবা বেসসরকারি স্কলারশিপের যা গোটা চিনের ৭০+ এর বেশি স্টেট জুড়ে বিস্তৃত।
পরিসংখ্যানটা বিশাল হলেও বাস্তবে তা আরো বর্ধিত ও বিস্তৃত। চলুন জেনে নেওয়া যাক গোটা চীন জুড়ে সেরা ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম
Peking University
Tsinghua University
Fudan University
Renmin University of China
Wuhan University
Zhejiang University
Shanghai Jiao Tong University
Nanjing University
University of Science and Technology of China
Nankai University
ভর্তি সেশন:
এটি খবই গুরুত্বপূর্ণ যে আমি কখন আবেদন করবো এটা জানা। নতুবা হতে পারে বিলম্ব কিংবা হতে পারে নানন জটিলতা
সাধারণত চীনে বছরে দুইবার আবেদন করা যায়৷ spring semester এর আবেদন October এ আর Fall semester এর আবেদন শেষ হয় April এ
-Spring semester (February In-take)
-Fall semester (September In-take)
পড়াশোনার বিষয়:
মূলত চীনে আছে অসংখ্য সল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি প্রোগ্রাম, তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য :
-MMBS Programme
-Bachelor Programme
-Master Programme
-Doctoral Programme
চীনে যে যে বিষয় নিয়ে পড়তে পারবেন:
International Tread/business,
Business Administration/management,
Computer science and Technology,
International Politics / Relations,
Mechanical and manufacturing Engineering,
Economics
Law
Petroleum Engineering
Architecture
Mathametics
Civil Engineering
Pharmacy
Software Engineering
Journalism and Media
Nursing
Chemical Engineering
ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা :
যেসব আবেদনকারী ইংরেজী ভাষাভাষী নন, তাদের TOEFL বা IELTS এর প্রয়োজনীয় স্কোর থাকতে হবে এবং এর সনদ সংযুক্ত করতে হবে।
MBA প্রোগ্রামে ভর্তি হতে চাইলে GRE বা GMAT এর স্কোর শীট সংযুক্ত করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন অধ্যাপকের একাডেমিক সুপারিশপত্র (Recommendation Letter) প্রয়োজন যেখানে ফোন নম্বর, ই-মেইল অ্যাড্রেস ইত্যাদি সবকিছু উল্লেখ করা থাকবে। প্রার্থীর একটি পূর্নাঙ্গ বায়োডাটা সংযুক্ত করতে হবে। ব্যাংক সলভেন্সী সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি। ৩ কপি সাম্প্রতিক সময়ে তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংযুক্ত করতে হবে।
পাসপোর্টের ফটোকপি
আবেদন ফি জমা দেয়ার রশিদ।
খরচ কেমন?
বেশিরভাগ চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার খরচ সম্পূর্ণ ফ্রি। তবে যারা মেডিকালের স্টুডেন্ট তাদের অবশ্যই
টিউশন ফিস দিতে হবে। সেক্ষেত্রে পুরো এমবিবিএস কমপ্লিট করতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মত লাগবে বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে কম বেশি হতে পারে।
দরকারি কাগজপত্র:
- .পাসপোর্ট (ন্যূনতম ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে)
- পূরণকৃত ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম
- ১ কপি সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ফটো।
- শারিরীক যোগ্যতার প্রমানপত্র
- চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইস্যুকৃত “Visa Application Form For International Students” (JW201 or JW 202) এর একটি মূলকপি এবং একটি ফটোকপি।
- যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন সেখান থেকে ইস্যুকৃত “Letter of Admission” এর একটি মূলকপি ও একটি ফটোকপি।
আপনি যদি ইতোপূর্বে কখনও চীনের ভিসা পেয়ে থাকেন, তবে সর্বেশেষ ভিসার কপি। - শিক্ষার্থীর সর্বেশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে একটি কভার লেটার।
- পাসপোর্টের “Personal Data Page” এর ফটোকপি।
স্কলারশিপ:
বর্তমানে চীনে শিক্ষার অগ্রগতির জন্য এখানে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে প্রচুর পূর্ণ স্কলারশিপ অথবা অর্ধ স্কলারশিপ সুযোগ তাদের ভেতর উল্ল্যেখযোগ্য :
.Chinese Government Scholarship
.Confucius Scholarships
.MOFCOM Scholarship
.Belt and Road Scholarships
স্কলারশিপ পাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা :
ব্যাচেলরের জন্য :
এস এস সি ও এইচ এস সি তে কমপক্ষে জিপিএ .৪.০০ করে মোট ৮.০০ পেতে হবে কোনটাতে ৪.০০ এর নিচে হলে স্ক্লারশিপ পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
মাস্টার্সের জন্য :
জিপিএ ৪ এর মধ্যে কমপক্ষে ৩.০০ পেতে হবে।
স্কলারশিপে কি কি সুবিধা পাবেন ?
টিউশন ফি ফ্রি।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
মাসিক স্টাইপেন্ড ৫০০/১৭০০/৩০০০ আরএমবি ( বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদান করা হবে)।
আমাদের ঠিকানা:
Admission.ac (a concern of Daffodil Family)
102/1 Sukrabad, Mirpur Road, Dhanmondi,
Dhaka-1207, Bangladesh.
info@admission.ac
01847334731