তুরষ্ক ও উচ্চশিক্ষা
ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ভৌগোলিক অবস্থান আর সমকালীন রাজনীতির কারণে তুরস্ককে এই শতাব্দীর শিরোনামে আলাদা করে রাখে সর্বদা৷
আর এই আলোচনা পটভূমি এর মূলে রয়েছে আরেকটি বিষয় যা তুরস্কের শিক্ষাব্যবস্থার ভূমিকা।
শিক্ষার বিস্তার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতেই তুরস্ক সরকার প্রতিবছরই বিদেশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে সেখানে উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দিচ্ছে।
তুরস্ক সরকার ১০ বছর ধরে ‘Turkiye Burslar’ প্রজেক্টের আওতায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বৃত্তি দিয়ে আসছে। এই বৃত্তির মাধ্যমে টিউশন ফি, একোমডেশন, পকেট মানি, স্বাস্থ্যবিমা, এক বছরের তুর্কি ভাষা কোর্সসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্লেনের টিকিটও দেওয়া হয়। এই বৃত্তিতে স্নাতক (সম্মান), স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি করার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত।
কেন পড়তে যাবেন ?
যে কেও বিদেশে পড়তে যেতে চাইলে স্বাভাবিক ভাবে প্রথম প্রশ্ন আসে কেন পড়তে যাবো এখানে? হ্যাঁ, একদম ঠিক। তুরষ্কে কেন পড়তে যাবেন এই নিয়মিত প্রশ্নের নির্দিষ্ট উত্তর অনেকটা এরকম:
– হাতের নাগালে টিউশন ফি এবং বৃত্তি।
– উন্নয়নশীল দেশ, উন্নত জীবন যাপন
– বাংলাদেশের পাঠচক্রের সাথে সামঞ্জস্য
– বহুল আলোচিত পর্যাপ্ত নিরাপত্তার জন্য অভ্যন্তরীণ আবাসিক ও খাবার এর সুযোগ।
– লাগবে না IELTS / GRE
– এছাড়াও আপনি পাবেন Vacation গুলোতে দেশে আসার সুযোগ।
এছাড়াও রয়েছে নানান কারণ যার দরুণ অন্য সব দেশ থেকে কেনো তুরষ্ক শিক্ষার্থীদের তালিকাতে উপরের সারিতে।
তুরস্কের শিক্ষাব্যবস্থা
তুরস্কের শিক্ষাব্যবস্থা ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে দশম। এ দেশের ৫০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিংয়ের প্রথম সারির দিকে। এখানকার শিক্ষাব্যবস্থায় মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরগুলোই বেশ উন্নত। এটিকে আরও উন্নত করতে এ দেশের সরকার নতুন অর্থ বাজেটে দেশটিতে ইউরোপের সবচেয়ে বড় মেডিকেল পার্ক করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
এ দেশে মোট বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যা ২০৭। এর মধ্যে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১২৯টি। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৮। আর এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেই এ দেশের বিদেশবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রতিবছর সাত হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী আসেন পৃথিবীর ১৬০টি দেশ থেকে।
এখানে বাংলাদেশ থেকে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও তুলনামূলকভাবে বেশি। বর্তমানে শিক্ষাবৃত্তির আওতায় ১৭ হাজার ৫০০ বিদেশি শিক্ষার্থী পড়ছেন তুরস্কে।
চলুন দেখে আসা যাক বেশ কিছু সেরা তুর্কি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ধাম:
1. ATILIM University
2.ACIBADEM
3.ISTINYE University
4.YEDITEPE University
5.YENI YUZYIL University
6.ATLAS University
7.SAKARYA University
8.SIIRT University
9.KARABUK University
ভর্তি সেশন
বিদেশে এডমিশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরূত্বপূর্ন বিষয় কখন আবেদন করবো এবং কিভাবে আদেদন করবো । এ বিষয়ে সতর্ক না থাকলে হতে পারে নানান জটিলতা কিংবা বিলম্ব ।
সাধারণত তুরষ্কে আবেদনের সময়সীমা বছরে দুইবার , Spring Semester এর আবেদন October এ এবং Fall Semester এর আবেদন শেষ হয় April.
কি কি প্রোগ্রামে আছে ?
- Bachelor’s Programme
2. Master’s Programme
3. PhD Programme
তুরষ্কে আপনি যে যে বিষয় নিয়ে অধ্যায়ন করতে পারবেন তার ভেতর উল্লেখযগ্য
- Architecture
- Textile and fashion design
- Law
- International relationship
- Civil engineering
- Information systems engineering
- Mechanical engineering
- Software engineering
- Automotive engineering
- Tourism management
আবেদন করতে যা লাগবে :
-পাসপোর্ট/জাতীয় আইডি কার্ড/জন্মনিবন্ধন সনদের (ইংরেজিতে অনুবাদ করা) স্ক্যান কপি।
– সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
– সব একাডেমিক সার্টিফিকেট।
– সব একাডেমিক মার্কশিট।
– দুটি রেফারেন্স লেটার। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় চেয়ারম্যান এবং অধ্যাপক হলে ভালো হয়।
– এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিসের সব সার্টিফিকেট।
– পাবলিকেশন থাকলে উল্লেখ করা।
ওপরের সব ডকুমেন্ট স্ক্যান কপি করে রেডি রাখতে হবে।
স্কলারশিপ :
বাইরের দেশে পরতে যাওয়ার সবচেয়ে দরকারি বিষয় হলো স্কলারশিপ ব্যবস্থা। আর সে জন্য আমরা এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য ২৫% পর্যন্ত স্কলারশিপের ব্যবস্থা করে দিয়ে থাকি।
যোগাযোগের ঠিকানা
You are most welcome to our office
Admission.ac (a concern of Daffodil Family)
102/1 Sukrabad, Mirpur Road, Dhanmondi,
Dhaka-1207, Bangladesh.
info@admission.ac
01847334731, 01847334732